এবার ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। শেখ হাসিনার দেশে ছাড়া নিয়ে সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র সোহেল তাজ। সেখানে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সোহেল তাজ বলেন, ‘যে যা-ই বলুক না কেন, শেখ হাসিনার একটা গুণ আছে। তার সংস্পর্শে এলে কেন জানি সবাই নিজেকে হারিয়ে ফেলে। এটা অ্যামেইজিং ট্যালেন্ট কারিশমা বলে। আপনি তার সামনে গেলে একদম দুর্বল হয়ে যাবেন। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, না দেশ ছেড়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। আমি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলাম। আমারও খুব বড় স্বপ্ন ছিল দিনবদলের। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে আমরা পরিবর্তন করব।
গতানুগতিক রাজনীতি থেকে সরে আসব, প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে আসব। কিন্তু দুঃখ হচ্ছে এখানেই, আমরা সে ওয়াদা রাখিনি। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমরা প্রতিহিংসা রাজনীতিতে মেতে উঠেছিলাম।’
সোহেল তাজ আরো বলেন, ‘আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের দলীয় নেত্রীকে শ্রদ্ধা করতাম। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল, আমার সুযোগ হয়েছিল বিরোধীদলীয় রাজনীতি করার এবং তার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাছাকাছি এসে কাজ করার। কিন্তু আমি যখন দেশে আসি আমার সামনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল।’
মন্ত্রিত্ব ছাড়ার বিষয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে কোনোমতে বের হয়ে আমেরিকায় গিয়ে তাকে (শেখ হাসিনা) ফোন দিয়েছি। রিকোয়েস্ট করেছি আমাকে দয়া করে ছেড়ে দেন। আমি পদত্যাগপত্র আপনাকে দিয়েছি ৩১ মে। আমি থাকতে চাই না। তিনি আমাকে বললেন থাকো। এটা হাস্যকর শোনাবে আমি বলতে চাচ্ছি না। পাঁচ মিনিট ধরে আমি বলছি আমাকে ছেড়ে দেন, তিনি বলছেন, তোমাকে ছাড়ব না। তারপর তিনি গান গেয়েছেন, আমি হতভম্ব হয়ে যাই।’ আমার বোনকে রীতিমতো জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়। কারণ আমার পথটা যে বেকায়দায় ফেলেছিল সরকারকে, তাজউদ্দীন পরিবার থেকে পদত্যাগ করেছে, সেটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা।